শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামে নোমান হুম টেক্সটাইল মিলের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা গ্রামের মৃত এমদাদ মেম্বারের ছেলে মোঃ নুরুল আমীনের কাছ থেকে কেওয়া মৌজা,এস,এ-১৩৪০ নং ও ১৪০৯ নং এবং আর,এস- ৬৯৬ নং ও ৭০২ নং খতিয়ান, দুই শতাংশ জমি,কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে কামাল সরকার
(০৪/১০২০২২ইং) তারিখে ক্রয় করে ভোগ দখলে নিয়জিত আছে বলে জানাই কামাল সরকার । (২৪-০৮-২০২৪ইং) রোজ শনিবার ভোগ দখল কৃত জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ করিতে গেলে,তারই আপন সহোদর বড় দুই ভাই কফিল ও কবির সরকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
এবিষয়ে কামাল সরকার বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬/৭ জনের নামে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো, মোছাঃ নাসরিন আঞ্জুমান রুনি (৪৫) স্বামী- মোঃ কফিল উদ্দিন, মোঃ কফিল উদ্দিন (৫৩) পিতা- মৃত সামসুল হক, মোঃ নাফিস আল সাইক (২৪) পিতা- মোঃ কফিল উদ্দিন,মোঃ কবির হোসেন (৪৫) পিতা- মৃত সামসুল হক,কামরুজ্জামান কনক (২৩) মোঃ কারিফ মিয়া (১৯) উভয় পিতা- মোঃ কবির হোসেন,মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন (৪০) স্বামী- মোঃ কবির হোসেন, মোছাঃ লতা আক্তার (৩৪) স্বামী- রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ রাজা মিয়া (২৪) পিতা- মৃত নুরুল হক সর্ব সাং- কেওয়া পূর্ব খন্ড, থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, (২৪-০৮-২০২৪ ইং) রোজ শনিবার বিকাল আনুমানিক ০৩ টার সময় কামাল সরকার তার বসত বাড়ী সংলগ্ন উত্তর পাশে তাহার মালিকানাধীন ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় জমিতে রাজমিস্ত্রী ও লেবার নিয়া স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করিলে,অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া জমিতে প্রবেশ করিয়া ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করে। তখন কামাল সরকার সহ পরিবারের লোকজন তাদেরকে অন্যায় কাজে বাধা প্রদানের চেষ্টা করিলে,অভিযুক্তরা আমাদেরকে মারপিট করিতে উদ্দ্যত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।এহামলায় আমার ভাই শাহাবুদ্দিনের ডান হাতের কেনি আঙ্গুলে কাটা জখম হয়,ছোট ভাই রাসেলের বুকে লাগিয়া ব্যাথাযুক্ত জখম হয় এবং আমাকে মারধর করে হুমকি প্রদান করে যে, আমি যদি নির্মাণ কাজ বন্ধ না করি তবে সময় সুযোগে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনের জান মালের যে কোন ধরনের ক্ষতি করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, আমার পিতার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত কবির সরকার আমাকে বসত ঘর হইতে বাহির করিয়া দিয়া বসত ঘরের দরজায় তালা লাগাইয়া দেয়। যার জন্য আমি আমার বাড়ীতে প্রবেশ করিতে পারছিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এই জমিটা নিয়া অনেক সমস্যা এই জমি মৃত এমদাদ মেম্বারের ছেলে নুরুল আমীনের কাছ থেকে কামাল কিনেছে, এই জমিটা নিয়ে অনেকদিন যাবত গন্ডগোল এমন কি কফিল সরকার ও কবির সরকার কামালকে অনেক মারধর করছে, এটা আমরা জানি আশেপাশের লোকজন অনেকেই জানে। আমরা যদি আসি তাদের গন্ডগোলে ফিরাইতে তাহলে আমাদেরকে বলে তোমরা চলে যাও তোমরা চলে যাও। ২৪ তারিখে কামাল তার জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করিলে কফিল ও কবির সরকার বাধা দেয়। বাধা দিয়া কবির সরকার শ্রীপুর মডেল থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করে,অভিযোগ করার পর প্রশাসনের লোকজন আসে তারপর জমির দলিল পত্র দেখে দুই পক্ষকেই বলে যায় আপনারা গন্ডগোল না করে সবাই বসে এটা ফয়সালা করেন।এই বলে প্রশাসনের লোক চলে যায়।যাওয়ার সাথে সাথে তারা দলবদ্ধ হয়ে কামাল সরকারের উপর হামলা চালায়। আমি একটা জিনিস বুঝিনা তারা আপন সহোদর তিন ভাই ছোট ভাই কামাল জমিটা ক্রয় করেছে। তাহলে কেন বাধা দিয়ে কামালকে এতো হেনস্তা করছে।
খালেক মিয়া বলেন,কামাল সরকারের কিনা জমি সে যদি তার জমিতে বাসা বাড়ি করতে যায় কফিল ও কবির সরকার বাধা দেয়। জমির প্রকৃত মালিক কামাল কিন্তু তারা কেন বাধা দেয়,কিসের জন্য বলে এই জমি তাদের এটা আমি বুঝি না।
রিয়াজ মিয়া বলেন, আমার ভাতিজা কামাল সরকার সে এই জমিটা নুরুল আমীনের কাছ থেকে ক্রয় করে,তার জমিতে সে যা মন চায় করবে। কেন কবির সরকার ও কফিল সরকার তাকে মারধর করবে হামলা করবে। এই ছেলেটাকে এতো জুলুম করতেছে ছেলেটা এখন নিরোপাই হয়ে পড়েছে।
কামাল সরকার জমি ক্রয় করেছেন নুরুল আমীনের কাছ থেকে এ বিষয়ে নুরুল আমীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,৪ গুন্ডা জায়গা আমি কফিল, কবির ও কামাল সরকার তাদের তিন ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি বায়না করছি।বায়না করার পরে তারা জায়গা নিতাছে না রেজিস্ট্রি করতেছেনা, যে তারিখে রেজিষ্ট্রি করার কথা এই তারিখ ওবার হয়ে গেছে । আমার ঐ মুহুর্তে টাকা অনেক দরকার ২-৩ মাস পরে কামালের কাছে যাই এবং অনেক রিকোয়েস্ট করে তাকে আমি দুই শতাংশ জমি লিখে দেই,সে আমাকে টাকা দিয়ে দেয়। তাহলে কামালকে যে জমিটা দেওয়া হয়েছে,তাকে কেন বাধা দিবে এর কারণ টা কি আমি বুঝতেছিনা।কামালকে জমি দেওয়ার পর আর বাদবাকি জায়গাটুকু যা আছে তারা আমার কাছে রেজিস্ট্রি করে নিবে কিন্তু নিতেছে না প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে তারা কোর্টে মামলা করছে,আমার নামে আমারে হ্যারেজমেন্ট করতেছে আমি জায়গা বিক্রি করছি টাকার জন্য তারা আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে হেনস্তা করতেছে।
অভিযুক্ত কবির সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নুরুল আমীনের কাছ থেকে তিন ভাইয়ের নামে ৪ গুন্ডা জমি রেজিস্ট্রি বায়না করি।রেজিষ্ট্রি বায়নার মেয়াদ তিন মাস চলে গেলেও দেই দিচ্ছি বলে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। পরবর্তীতে জানতে পারলাম গোপনে দুই শতাংশ জমি কামালকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। এ কথা জানতে পেরে আমারা আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলা চলমান রয়েছে আর এই মামলা নিস্পতি হওয়ার আগ পর্যন্ত জমিটা এইভাবেই থাকবে বলে জানায় কবির সরকার।
কামাল সরকার আরো বলেন, আমি আমার জমি বুঝে পাওয়ার জন্য এলাকার গুণ্যমান্য ব্যক্তীবর্গ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।